Saturday, December 16, 2017

নামাজে সুরা-কিরাত তেলাওয়াত সংক্রান্ত বিধি-বিধান

নামাজে সুরা-কিরাত তেলাওয়াত সংক্রান্ত বিধি-বিধান :-
ফরজ সালাতের দুই রাকাআতে কিরাআত ওয়াজিব ইমাম শাফিঈ (র.) সকল রাকাআতে ওয়াজিব বলেন। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন- কিরাত ছাড়া সালাত শুদ্ধ নয়। আর প্রতিটি রাকাআতঈ সালাত। ইমাম মালিক (র.) তিন রাকাআতে কিরাত ফরজ বলেন। সহজ করার নিমিত্ত অধিকাংশকে সমগ্রের তুল্য মনে করেন। আমাদের দলীল হলো আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন- কুরআনের যতটুকু সহজ হয় পাঠ কর।

ফরজ সালাতের দুই রাকাআতে কিরাআত ওয়াজিব ইমাম শাফিঈ (র.) সকল রাকাআতে ওয়াজিব বলেন। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন- কিরাত ছাড়া সালাত শুদ্ধ নয়। আর প্রতিটি রাকাআতঈ সালাত। ইমাম মালিক (র.) তিন রাকাআতে কিরাত ফরজ বলেন। সহজ করার নিমিত্ত অধিকাংশকে সমগ্রের তুল্য মনে করেন। আমাদের দলীল হলো আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন- কুরআনের যতটুকু সহজ হয় পাঠ কর। আর কোন কাজের আগে পুনরাবৃত্তির দাবী রাখে না। তবে দ্বিতীয় রাকাআতে আমরা কিরাত ওয়াজিব করেছি প্রথম রাকাআতের সাথে তুলনা করে। কেননা উভয় রাকাআত সকল দিক থেকে সদৃশ। পক্ষান্তরে দ্বিতীয় দুই রাকাআতের পার্থক্য রয়েছে প্রথম দুই রাকাআত থেকে। সফর বাইর হওয়ার এবং কিরাতের গুণে (উচ্চৈস্বরে নীরব পড়ার ব্যাপারে) এবং কিরাতের পরিমাণের ব্যাপারে।দ্বিতীয় দুই রাকাআত প্রথম দুই রাকাআতের সাথে মিলিত হবে না। আর শাফিঈ (র.) বর্ণিত হাদীছে সালাত শব্দটি সুস্পষ্ট রূপে উল্লেখিত হয়েছে। সুতরাং তা পূর্ণ সালাতের উপর প্রযোজ্য হবে। আর তা সাধারণ ব্যবহারে দুই রাকাআতই হয়। যেমন কেউ কোন সালাত আদায় করবেন বলে শপথ করল (এতে দুই রাকাআত পড়লেই শপথ ভঙ্গ হবে)। পক্ষান্তরে যদি শপথ করে যে, সে ‘সালাত’ আদায় করবে না (এতে এক রাকাআত পড়লেও সে শপথভঙ্গকারী হবে)। শেষ দুই রাকাআতে সে তার ইচ্ছার উপর ন্যস্ত। অর্থাত্ ইচ্ছা করলে সে নীরব থাকবে। ইচ্ছা করলে কিরাত পড়বে। আবার ইচ্ছা করলে তাসবীহ পাঠ করবে। আবূ হানীফা (র.) থেকে এরূপই বর্ণিত হয়েছে। আলী (রা.) ইবন মাসঊদ ও ‘আইশা (রা.) থেকে এ-ই বর্ণিত হয়েছে। তবে কিরাত পড়াই উত্তম। কেননা নবী করিম (সা.) (প্রায় সর্বদাই এরূপ করেছেন) একারণেই জাহিরী রিওয়ায়াত মতে তা তরক করার কারণে সাজদা সাহু ওয়াজিব হয় না।
নকলের সকল রাকাআতে এবং বিতরের সকল রাকাআতে কিরাত ওয়াজিব। নফলে ওয়াজিব হওয়ার কারণ এই যে, নফলের প্রতি দুই রাকাআত আলাদা সালাত বিশিষ্ট। এবং তৃতীয় রাকাআতের জন্য দাড়ানো নতুন তাহরীমা বাধার সমতুল্য। একারণেই আমাদের ইমামদের প্রসিদ্ধ মতে প্রথম তাহরীমা দ্বারা দুই রাকাআতই শুধু ওয়াজিব হয়। তাই ফকীহ্গণ বলেছেন যে, তৃতীয় রাকাআতে (প্রথম রাকাআতের ন্যায়) ছানা পড়বে। অর্থাত্ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা পড়বে। আর বিতরে ওয়াজিব করা হয়েছে সতর্কতার দৃষ্টিকো্ণে। ইমাম কুদুরী (র.) বলেন, যে ব্যক্তি নফল শুরু করে তা ভেঙ্গে ফেলে, তবে তা কাযা করবে। আর ইমাম শাফিঈ (র.) বলেন, তার উপর কাযা ওয়াজিব নয়। কেননা, সে তা স্বেচ্ছায় আরম্ভ করেছে। আর সে স্বেচ্ছায় কিছু করে, তার উপর বাধ্যবাধকতা আরোপিত হয় না। আমাদের দলীল এই যে, আদায়কৃত অংশটুকু ইবাদতে গণ্য হয়েছে। সুতরাং তা পূর্ন করা অনিবার্য। যেহেতু আমলকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করা জরুরী। যদি চার রাকাআত সালাত শূরু করে এবং প্রথম দুই রাকা্আতে কিরাত পড়ে ও বৈঠক করে, এরপর শেষ দুই রাকাআত নষ্ট করে ফেলে তবে দুই রাকাআত কাযা করবে। কেননা, প্রথম দু’রাকাআত পূর্ণ হয়ে গেছে। আর তৃতীয় রাকাআতের জন্য দাড়ানো নতুনভাবে তাহরীমা করার সমতুল্য। সুতরাং তা সে ওয়াজিব করে নিয়েছে। এ হুকুম তখনকার জন্য, যখন শেষ দুই রাকাআত শুরু করার পর নষ্ট করে। আর যদি দ্বিতীয় দু’রাকাআত শুরু করার আগেই নষ্ট করে ফেলে তবে শেষ দু’রাকাআত কাযা করবে না। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) থেকে বর্ণিত আছে যে, সালাত শুরু করাকে মান্নতের উপর কিয়াস করে চার রাকাআত কাযা করবে।
ইমাম আবূ হানীফা ও মুহাম্মদ (র.) এর দলীল এই যে, আরম্ভ অবশ্য পালনীয় করে ঐ অংশকে, যা আরম্ভ করা হয়েছে এবং যে অংশ ছাড়া ঐ কর্ম শূদ্ধ হয় না। আর প্রথম দুই রাকাআতের শুদ্ধতা দ্বিতীয় অংশের সাথে সম্পৃক্ত নয়। দ্বিতীয় রাকাআতের বিষয়টি এর বিপরীত। যুহরের সুন্নত সম্পর্কেও একই মতভিন্নতা। কেননা, মূলতঃ এটা নফল কোন কোন মতে সতর্কতা হিসাবে চার রাকাআতই কাযা করবে। কেননা তা সম্পূর্ণ একই সালাত হিসাবে গণ্য। আর যদি কেউ চার রাকাআত (নফল সালাত) আদায় করলেন আর তাতে কোন কিরাত পড়ল না, তবে সে দুই রাকাআতই দোহরাবে। এটা ইমাম আবূ হানীফা ও মুহাম্মদ (র.)এর মত। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.)এর মতে চার রাকাআত কাযা করবে। এ মাসআলা আট প্রকারের। মাসাআলার মূল কথা এই যে, মুহাম্মদ (র.) এর মতে প্রথম দুই রাকাআতে কিংবা দুই রাকাআতের যে কোন একটিতে কিরাআত তরক করা তাহরীমাকে বাতিল করে দেয়। কেননা তাহরীমা বাধা হয় কর্ম সম্পাদনের জন্য। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মতে প্রথম দুই রাকাআতে কিরাতে তরক করা তাহরীমাকে বাতিল করে না, বরং সালাত আদায় হও্রয়াকে ফাসিদ করে। কেননা কিরাত হলো সালাতের অতিরিক্ত রুকন। দেখূন না কিরাত ছাড়াও সালাতের অস্তিত্ব হয়ে যায়। যেমন (বোবা মানুষের) তবে কিরাতে ছাড়া সালাত আদায় বিশুদ্ধ নয়। আ আদায় ফাসিদ হওয়া রুকন তরক করার চেয়ে গুরুতর নয়। সুতরাং তাহরীমা বাতিল হবে না। ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মতে প্রথম দুই রাকাআতে কিরাত তরক করা তাহরীমাকে বাতিল করে দেয় কিন্তু দুই রাকাআতের শুধু এক রাকাআতে তরক করা বাতিল করে না। কেননা প্রতি দুই রাকাআত স্বতন্ত্র নামায। আর এক রাকাআতে কিরাত তরফ করার কারণে নামায নষ্ট হওয়া বিতর্কিত বিষয়। তাই সতর্কতা অবলম্বনে আমরা কাযা ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে নামায নষ্ট হওয়ার রায় দিয়েছি। আর দ্বিতীয় রাকাআতদ্বয় আবশ্যক হওয়ার ক্ষেত্রে তাহরীমা অব্যাহত থাকার রায় দিয়েছি।
এই মূলনীতি সাব্যস্ত হওয়ার পর আমাদের বক্তব্য হলো; কোন রাকাআতেই যকি কিরাত না পড়ে থাকে তাহলে ইমাম আবূ হানীফা ও মুহাম্মদ (র.) এর মতে দুই রাকাআত কাযা করবে। কেননা প্রথম রাকাআতদ্বয়ে কিরাত তরক করার কারণে তাদের মতে তাহরীমা বাতিল হয়ে গেছে। সুতরাং দ্বিতীয় রাকাআতদ্বয় শুরূ করা শূদ্ধ হয়নি। পক্ষান্তরে ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মতে তাহরীমা অব্যাহত আছে। সুতরাং দ্বিতীয় রাকাআতদ্বয় শুরু করা শূদ্ধ হয়েছে। অতঃপর যেহেতু কিরাত তরফ করার কারণে পুরা নামায ফাসিদ হয়ে গেছে, সেহেতু তার মতে চার রাকাআতই কাযা করতে হবে। যদি শূধু প্রথম দুই রাকাআতে কিরাত পড়ে থাকে তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে শেষ দুই রাকাআত কাযা করবে। কেননা তাহরীমা বাতিল হয়নি। সুতরাং দ্বিতীয় রাকাআতদ্বয় শুরু করা শূদ্ধ হয়েছে। অতঃপর কিরাত তরক করার কারণে তা ফাসিদ হওয়া প্রথম রাকাআদ্বয়ের ফাসিদ হওয়াকে সাব্যস্ত করে না। যদি শুধু শেষ দুই রাকাআতে কিরাত পড়ে থাকে তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে প্রথম দুই রাকাআত কাযা করা ওয়াজিব হবে। কেননা ইমাম আবূ হানীফা ও মুহাম্মদ (র.) এর মতে দ্বিতীয় অংশ করা শুদ্ধ হয়নি। পক্ষান্তরে ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) এর মতে শুরু যেহেতু শূদ্ধ হয়েছে, তেমনি তা আদায়ও হয়েছে। যদি প্রথম দুই রাকাআত এবং দ্বিতীয় রাকাআতদ্বয়ের এক রাকাআতে কিরাত পড়ে থাকে তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে শেষ দুই রাকাআত তাকে কাযা করতে হবে। আর যদি শেষ দুই রাকাআতে এবং রাকাআতদ্বয়ের এক রাকাআতে কিরাত পড়ে তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে প্রথম দুই রাকাআত কাযা করতে হবে। আর যদি উভয় অংশের এক রাকাআত কাযা করবে। আবূ হানীফা (র.)এর মতও তাই। কেননা তাহরীমা অব্যাহত রয়েছে। মুহাম্মদ (র.) এর মতে প্রথম দুই রাকাআত কাযা করতে হবে। কেননা (প্রথম রাকাআতদ্বয়ের এক রাকাআতে কিরাত তরফ করার কারণে) তার মতে তাহরীমা রহিত হয়ে অস্বীকার করেছেন। (ইমাম মুহাম্মদ (র.) কে সম্বোধন করে) তিনি বলেছেন, আমি তোমাকে আবূ হানীফা (র.) এর পক্ষ হতে এ বর্ণনা শূনিয়েছি যে, তাকে দুই রাকাআত কাযা করতে হবে। কিন্তু ইমাম মুহাম্মদ (র.) ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর পক্ষ হতে তার এ বর্ণনা প্রত্যাহার করেন নি। যদি শুধু প্রথম রাকাআতদ্বয়ের এক রাকাআতে কিরাত পড়ে তাহলে বড় ইমামদ্বয়ের মতে চার রাকা্আত কাযা করবে। আর মুহাম্মদ (র.) এর মতে দুই রাকাআত কাযা করবে। আর দ্বিতীয় এক রাকাআতে কিরাত পড়ে তাহলে আবূ ইউসূফ (র.) এর মতে চার রাকাআত কাযা পড়বে। আর ইমাম আবূ হানীফা ও মুহাম্মদ (র.)এর মতে দুই রাকাআত কাযা করবে।
ইমাম মুহাম্মদ (র.) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এর হাদীছ কোন সালাতের পর অনুরূপ সালাত পড়বে না। এর অর্থ হলো, দুই রাকা্‌আত কিরাতসহ পড়া এবং দুই রাকাআত কিরাত ছাড়া পড়া। সুতরাং এ হাদীছ দ্বারা নফলের সকল রাকাআতে কিরাত ফরজ হওয়া বয়ান করা উদ্দেশ্য। দাড়ানোর সার্মথ্য থাকা সত্ত্বেও বসে নফল পড়তে পারে। কেননা রাসুলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন- বসা অবস্থায় নামাযের সাওয়াব দাড়ানো অবস্থার নামাযের অর্ধেক। তাছাড়া নামায হলো শ্রেষ্ঠ ইবাদত, যা সর্বসময়ে আদায়যোগ্য। অথচ মাঝেমধ্যে দাড়ানো তার জন্য কষ্টকর হতে পারে। তাই কিয়াম তরক করা তার জন্য জাইয হবে যাতে নামায পড়া থেকে (শূধূ এই কারণে) বিরত না হয়। বসার ধরন সম্পর্কে আলিমগণ মতভিন্নতা পোষণ করেন। তবে পসন্দনীয় (ও ফাতওয়া রূপে গৃহীত) মত এই যে, তাশাহুদে যেভাবে বসা হয় সেভাবে বসবে। কেননা এটা নামাযে বসার সুন্নত তরীকা রূপে পরিচিত। যদি দাড়ানো অবস্থায় সালাত শূরু করে তারপর ওযর ছাড়া বসে পড়ে তবে ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মতে জাইয হবে। এটা হলো সূক্ষ কিয়াস। আর ইমাম আবূ ইউসূফ ও মুহাম্মদ (র.) এর মতে জাইয হবে না। এটা হলো সাধারণ কিয়াস। কেননা আরম্ভ করা মান্নতের সাথে তুলনীয়। ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর যুক্তি এই যে, অবশিষ্ট নামাযে তো সে কিয়াম গ্রহণ করেনি। আর নামাযের যতটুকু অংশ সে আদায় করেছে কিয়াম ছাড়াই তার বিশুদ্ধতা রয়েছে। নযর বা মান্নতের বিষয়টি এর বিপরীত। কেননা স্পষ্ট ভাষায় এই বাধ্যবাধকতা গ্রহণ করেছে। এমন কি যদি কিয়ামের বিষয়টি স্পষ্ট না বলে থাকে তবে কোন কোন মাশায়েখের মতে তার জন্য কিয়াস জরুরী হবে না। যে ব্যক্তি শহরের বাইরে রয়েছে সে তার সাওয়ারির জন্তুর ইশারা করে নফল পড়তে পারে, সওয়ারি যে দিকেই অভিমুখী হোক। কেননা বর্ণিত আছে যে, ইবন উমর (রা.) বলেছেন, রাসূলু্ল্লাহ্ (সা.) কে আমি খায়বার অভিমুখী গাধার পিঠে ইশারা করে নামায পড়তে দেখেছি (মুসলিম)। তাছাড়া নফল বিশেষ কোন ওয়াক্তের সাথে সম্পৃক্ত নয়, এমতাবস্থায় যদি আমরা সওয়ারি হতে নামা এবং কিবলামুখী হওয়া তার জন্য বাধ্যতামুলক করে দেই তবে হয় সে নফল ছেড়ে দেবে অথবা কাফেলা থেকে পিছনে পড়ে যাবে।
পক্ষান্তরে ফরজ নামাযগুলো নির্ধারিত সময়ের সাথে সম্পৃক্ত। নিয়মিত সুন্নত নামাযগুলো নফলের অন্তর্ভূক্ত। তবে ইমাম আবূ হানীফা (র.) হতে বর্ণিত এক রিওয়ায়াত মতে ফজরের সু্ন্নাতের জন্য সওয়ারি হতে নামতে হবে। কেননা এটা অন্যান্য সুন্নতের তুলনায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ। শহরে বাইরে হওয়ার শর্ত দ্বারা প্রতিয়মান হয় যে নিয়মিত সফর হওয়া শর্ত নহে। তদ্রুপ শহরের ভিতরে এরুপ আদায় করা জাইয হবে না। আর ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) হতে বর্ণিত এক মতে শহরেও জাইয আছে। জাহিরী রিওয়ায়াতের কারণ এই যে, হাদীছ শহরের বাইরে সম্পর্কেই রয়েছে। আর সওয়ারির প্রয়োজনীয়তা শহরের বাইরেই বেশী। যদি নফল নামায সওয়ার অবস্থায় শূরু করে এরপর সওয়ারি থেকে নেমে যায় তাহলে ‘বিনা’ করবে। আর যদি নামা অবস্থায় এক রাকাআত পড়ে তারপর আরোহণ করে তবে নতুন ভাবে শূরু করবে। কেননা নামতে সক্ষম হওয়ার কারণে আরোহীর তাহরীমা সংগঠিত হয়েছে, রুকু-সাজদার বৈধতা সহকারে। সুতরাং যখন সে নেমে রুকু-সাজদা করবে তখন তা জাইয হবে। পক্ষান্তরে অবতরণকারীর তাহরীমা রুকু সাজদা ওয়াজিবকারী রূপে সংগঠিত হয়েছে। সুতরাং যা তার উপর বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছে, তা সে বিনা ওযরে তরক করতে পারে না। ইমাম আবূ ইউসূফ (র.) হতে একটি বর্ণনা আছে যে, সওয়ারি হতে নামলেও নতুন করে শুরু করবে। তদ্রুপ মুহাম্মদ (র.) হতে বর্ণিত আছে যে, এক রাকাআত পড়ার পর অবতরণ করলে নতুন করে শূরু করবে। তবে উপরোক্ত জাহিরী রিওয়ায়াতই হলো অধিকতর বিশুদ্ধ।

No comments:

Post a Comment

বাংলা MCQ

বাংলা MCQ সবগুলো প্রশ্নের উত্তর একেবারে নিচে দেয়া হয়েছে।  ১. বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন কোনটি? ক) পিনাক্লিয়েট ডাক্সন খ)  বুর্জ খলিফা  গ) সি...